Pages

Saturday, October 11, 2014

নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেক





নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেক





পরিচিতি




বান্দরবান জেলাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থিত কৃত্রিম হ্রদএখানে মাছ  ধরা ও নৌকা ভ্রমণের সুবিধা রয়েছেবান্দরবান শহর থেকে ১২০ কিলোমিটর দূরে হলেও কক্সবাজার থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটারের মধ্যে  হওয়াতে এ স্থানটি ইকো ট্যুর ও পিকনিক স্পট হিসাবে এর পরিচিত রয়েছেউপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এটি পরিচালিত হচ্ছে
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সবুজ বেষ্টিত নাইক্ষ্যংছড়ির প্রাণ কেন্দ্রে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ঘেঁষে প্রায় আধা কিলো মিটার দীর্ঘ কার্পোটিং সড়ক যুক্ত প্রাকৃতির অপরূপ শোভায় শোভিত উপবন লেকটি অবস্থিতএকে আরো সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তুলেছে দৃষ্টিনন্দন সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ পাতার গাছ গুলোউপজেলা সদর প্রাণ কেন্দ্র থেকে ১/২ কিলোমিটার দক্ষিণে উত্তরবিছামারা এলাকায় এম.এ.কালাম ডিগ্রি কলেজ, শৈল শক্তি শিশু বাগ কে.জি স্কুল, মদিনাতুল উলুম ইনস্টিটিউট দাখিল মাদরাসা ঘোঁষে স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম গয়াল গবেষনা কেন্দ্রের বাংলাদেশ পশুসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বি.এল.আর.আই) আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রসদর উপজেলার উত্তরে আধ কিলোমিটারে রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি বি.জি.বির জোন কেন্টেলমেন্টশীত মৌসুমে প্রতিদিন পিকিনক পাটি, দেশী-বিদেশী পর্যটক, স্কুল,কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা শিক্ষা সফরে আসেনসাংবাদ কর্মীরা এখানে গয়াল গবেষণা কেন্দ্রে কিভাবে গয়াল প্রজনন প্রক্রিয়া হয়, তা দেখতে আসেনএতোসব সমৃদ্ধতার কারণে প্রাকৃতিক সবুজ বেষ্টিত উপবন লেক অপার সম্ভাবনাময় অপরূপ সৌন্দর্যের রানী নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রতিদিন ভ্রমন ও প্রাকৃতিক সম্পদ পাহাড় নিজ নামে লিজ নিতে অথবা ক্রয় করতে আসেন বিভিন্ন জেলার অসংখ্য পর্যটক ও ব্যবসায়ী শিল্পপতিস্থানীয়দের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও উপজাতীয়দের স্বভাব এবং অতিথি পরায়নতা দেখে তারা অবাক হয়ে যানপার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বতর্মানে একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেেন্দ্র পরিনত হয়েছেনাইক্ষ্যংছড়ির মতোই বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এ রকম প্রাকৃতিক সবুজ বেষ্টিত পর্যটন কেন্দ্রটি আজ তিন পার্বত্যের মধ্যেই বিখ্যাত

উপবন লেক (চিত্র - ১)

উপবন লেক (চিত্র - ২)

উপবন লেক (চিত্র - ৩)

ইতিহাস

মারমারা প্রথম যখন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে বসতি শুরু করে একটি টিলার উপর তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন করেতার নীচে পাড়া ঘেষে ছোট একটি খাল প্রবাহিতযা আজ ও আছেযাকে তারা নাম দিয়েছিল ‘‘দেবতার খাল’’ পাহাড়টিকে দেবতার পাহাড়তাদের ভাষায় ‘‘নাঞা’’ অর্থ দেবতা বা ভূত টং অর্থ পাহাড় আর এক অর্থে নাঞা অর্থ দেবতা বা ভূত স্চং অর্থ খালনাঞাটং অর্থ দেবতার পাহাড় বা ভূতের পাহাড় মতান্তরে নাঞাস্চং অর্থ দেবতার খাল বা ভূতের খালএই হতে নাইক্ষ্যংছড়ি নামের উৎপত্তিপার্বত্য অঞ্চলে বেশীর ভাগ স্থানের নামের সাথে ‘‘খাল ছড়ার’’ নাম যুক্ত হয়ে নামকরণ লক্ষ্য করা যায়নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এবং ১৯৮২ সালে উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ইহার উত্তরে লামা ও আলীকদম উপজেলা, দক্ষিণ-পুর্বে মায়ানমার এবং পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার রামু ও উখিয়া উপজেলা

অবস্থান

বান্দরবান জেলাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থিত কৃত্রিম হ্রদ


যাতায়াত


ঢাকা থেকে বান্দরবন শহরে এসে এখান থেকে জীপ, চান্দের গাড়ী নিয়ে সোজা চলে যেতে পারেন নাইক্ষাংছড়ি


যেখানে থাকবেন


থাকতে পারেন বান্দরবন শহরের কোন হোটেলে কিংবা নাইক্ষাংছড়ি ডাক বাংলোতে রাত্রি যাপন করতে পারেনসে ক্ষেত্রে পূর্ব অনুমতি নিয়ে আসতে হবে

No comments: