Pages

Monday, September 22, 2014

জনসংখ্যার উপাত্ত



২০১১ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত আদমশুমারীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজারএবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এই আদমশুমারীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২.২ শতাংশ সরকারী সংস্থা পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলন অনুযায়ী জুন ২০১৪-এ জনসংখ্যা ১৫৬,৪৯৯,৬৭৩ জন বা ১৫.৬৪ কোটি অন্য একটি প্রাক্কলন অনুসারে মার্চ ২০১৪-এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫.৯৫ কোটিমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলজেন্স এজেন্সির প্রাক্কলন ১৫.৮৫ কোটিএই হিসাবে বাংলদেশে পৃথিবীর ৮ম জনবহুল দেশজনঘনত্ব প্রতি বর্গমাইল এলাকায় ২৪৯৭ জনের বেশী

২০১১-এর আদমশুমারীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৭ কোটি ১২ লাখ ৫৫ হাজার এবং ৭ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০:১০৩ জনসংখ্যার নিরিখে এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশএখানে জনবসতির ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,০৫৫ জন, যা সারা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ (কিছু দ্বীপ ও নগর রাষ্ট্র বাদে)দেশের অধিকাংশ মানুষ শিশু ও তরুণ বয়সীঃ যেখানে ০২৫ বছর বয়সীরা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ, সেখানে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা মাত্র ৩ শতাংশএদেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষের গড় আয়ু ৬৩ বছর

জাতিগতভাবে বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ অধিবাসী বাঙালি বাকি ২ শতাংশ অধিবাসী বিহারী বংশোদ্ভূত এবং বিভিন্ন উপজাতি সদস্যদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ১৩টি উপজাতি রয়েছেএদের মধ্যে চাকমা উপজাতি প্রধানপার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরের উপজাতিগুলোর মধ্যে গারো সাঁওতাল উল্লেখযোগ্যএছাড়াও, কক্সবাজার এলাকায় বার্মা থেকে বিতাড়িত স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে

দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা, যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষাসরকারী ও ব্যবসায়ী কাজ-কর্মে ইংরেজিও ব্যবহৃত হয়ে থাকেতবে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যতীত অন্যান্য সরকারী কর্মকাণ্ডে বাংলা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে

জনগোষ্ঠির প্রধান ধর্মবিশ্বাস ইসলাম (. শতাংশ); এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্ম (১২. শতাংশ)বাকি ১. শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, অথবা অগ্নি উপাসকমুসলমানদের মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি মতাবলম্বী

মোট জনগোষ্ঠীর ২১.৪ শতাংশ শহরে বাস করে; বাকি ৭৮.৬ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের অধিবাসী
সরকারী ও বেসরকারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে দারিদ্র বিমোচন ও জনস্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছেকিন্তু এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেমোট জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক গড়ে দৈনিক মাত্র ১ মার্কিন ডলার আয় করে (২০০৫) আর্সেনিকজনিত বিষক্রিয়া বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা  ১৯৯০ দশকের শেষভাগে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে

২০০৫ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৪১ শতাংশ  ইউনিসেফের ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের হিসাবে পুরুষদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ৩১ শতাংশ তবে সরকার বাস্তবায়িত বিবিধ সাক্ষরতা কর্মসূচীর ফলে দেশে শিক্ষার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছেএর মধ্যে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য  কর্মসূচী সবচেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করেছে দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলকএছাড়া মেয়েদের শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবর্তিত বৃত্তি প্রদান কর্মসূচী নারীশিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছে

No comments: