Pages

Monday, September 22, 2014

অর্থনীতি



বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশজাতিসঙ্ঘের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী এটি একটি স্বল্পোন্নত দেশ (Least Developed Country)২০১৪ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে ১০০০ টাকার আন্তজার্তিক মূল্যমান কমবেশী ১৩ মার্কিন ডলার (১ মার্কিন ডলার = ৭৮ টাকা)দেশে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের বেশী১৯৮০' দশক থেকে শিল্প ও সেবা খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ সত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি অদ্যাবধি কৃষিনির্ভর কারণ দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষিজীবীদেশের প্রধান কৃষিজ ফসলের মধ্যে রয়েছে ধান, পাট এবং চাদেশে আউশ, আমন, বোরো এবং ইরি ধান উৎপন্ন হয়ে থাকে পাট, যা বাংলাদেশের সোনালী আঁশ নামে পরিচিত, এক সময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান উৎস ছিলো বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অধিকাংশ আসে রফতানিকৃত তৈরি পোশাক থেকে, এবং অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশীরভাগ ব্যয় হয় একই খাতের জন্য কাঁচামাল আমদানীতে সস্তা শ্রম ও অন্যান্য সুবিধার কারণে ১৯৮০- দশকের শুরু থেকে এই খাতে যথেষ্ট বৈদেশিক ও স্থানীয় বিনিয়োগ হয়েছে ২০১০-১১ অর্থবৎসরে তৈরী পোশাক রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ১২৫০ কোটি মার্কিন ডলার
তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন, যাঁদের ৯০%-ই নারী শ্রমিক বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার আরেকটি বড় অংশ আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো অর্থ হতেপরিবর্তিত হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ১০৪৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে নানা অর্থনৈতিক সূচকে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান পিছনের সারিতে, তবে বিশ্ব ব্যাংকের ২০০৫ সালের দেশভিত্তিক আলোচনায় এদেশের শিক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য সামাজিক খাতে উন্নয়নের প্রশংসা করা হয়েছে
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ গড়ে ৫% থেকে ৬.২% শতাঙশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এসেছেমধ্যবিত্ত ও ভোক্তা শ্রেণীর প্রসারণ ঘটেছে দ্রুত ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর বিশ্লেষণে বাংলাদেশকে আগামী ১১ দেশ এর মধ্যে গণ্য করা হয়েছে ২০১৩-১৪ অর্থবৎসরের প্রাক্কলন অনুযায়ী এবছর ৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে
বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সারা দেশে চালু হওয়া ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচী গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা১৯৯০ এর দশকের শেষভাগে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ; ব্র্যাক সহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থারও প্রায় ২৫ লাখ সদস্য রয়েছে
দেশের শিল্প ও রফতানির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (Export Processing Zone বা EPZ) স্থাপন করেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি বা বেপজা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করেদেশের রফতানি ও আমদানি বাণিজ্যর সিংহভাগ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর , মংলা সমুদ্র বন্দর বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়

No comments: