জাদিপাই ঝরণা
জাদিপাই ঝরনা (ইংরেজি: Jadipai waterfall) বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝরণাগুলোর মাঝে একটি। এই কারণে এই ঝরণা বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত। জাদিপাই/ যাদিপাই ঝরণাটা কেওক্রাডাং থেকে দেড় থেকে দুই ঘন্টার পথ,
শুধুই নামতে হবে, আমার মতে এটা আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ঝরণা,
অনেক ঠান্ডা পানি, ১০ মিনিট ঝরণার পানিতে গোসল করা অনেক কঠিন একটা কাজ,
আমি ৩/৪ মিনিটের বেশি টিকতে পারি নাই!! বর্ষাকালে জলপ্রপাতের পানি প্রবাহ বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। বর্ষা মৌসুমে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সৌন্দর্য্য পিপাসু মানুষ জাদিপাই ঝরণা দেখতে ছুটে আসে।
জাদিপাই ঝরণা
অবস্থানঃ
এটি পার্বত্য বান্দরবন জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চূড়া কেওক্রাডং পাহাড় থেকে জাদিপাই ঝরণা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে আসতে দুই ঘন্টা সময় লাগে।
জাদিপাই ঝরণার জলরাশি
কিভাবে যাবেনঃ
১. ঢাকা থেকে বান্দারবান সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে- হানিফ, শ্যামলি, এস. আলম
২. চট্রগ্রাম থেকে যেতে চাইলে বদ্দারহাট টারমিনাল থেকে পুরবী, পুরবানীতে যেতে পারেন।
রুটঃ
১. বান্দারবান-চান্দের গাড়িতে/৪ হুইল জিপে করে রুমা বাজার আসতে হবে-নাম এন্ট্রি করে আবার রুমা থেকে বগালেকের ঢালে নামাই দিবে, মনে রাখা ভাল রুমা বাজার থেকে বিকাল ৪টার আগেই নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ।
২. বগালেকের ১১৭৬ ফুট উঠার পর আবার নাম এন্ট্রি করাতে হবে আর্মি ক্যাম্প-এ, এবার খাওয়া দাওয়া শেষে আবার ট্রেক্কিং করতে হবে,
আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা হাটলেই এই চিংড়ি ঝরণা পাওয়া যাবে।
৩. বগালেকে থাকতে পারেন অথবা কেওক্রাডাং চলে যেতে পারেন, কারন কেওক্রাডাং যেতে ২.৩০/৩ ঘন্টা লাগবে হাটতে। পথের মাঝে দারজিলিং পাড়া পড়বে,
এখানে রেস্ট নিতে পারেন ১৫-২০ মিনিট।
৪. কেওক্রাডাং গিয়ে থাকতে পারেন, লালার গেস্ট হাউসে,
আবার হাটতে হবে দেড় ঘন্টার পথ, নামতেই হবে- শেষের ১৫ মিনিট এর পথটা অনেক রিস্কি,
আসলেই অনেক কষ্ট করে নামতে হইসে ৭০-৮০ ডিগ্রি এঙ্গেলে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে, পা যে ফেলবো সেই যায়গাটুকু নাই,
ধরার মত কিছুই নেই, পাশে বিশাল খাঁদ! পরলে নিজেকে খুজে পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ!!
৫. নামাতে নামতে ঝরণার আওয়াজ শুনতে পাবেন, নামার কষ্টটা ভুলে যাবেন,
জাদিপাই দেখার পর!
বিঃদ্রঃ
ওখানে থাকার জায়গা নেই, আবার ফেরত আসতে হবে কেওক্রাডং লালার রেস্ট হাউসে, মনে রাখবেন স্যালাইন, গ্লুকোজ কিন্তু অবশ্যই নিতে হবে,
আবার খালি পানি নিতেও ভুলবেন না, নইলে আপনাকে অনেক কষ্টে পড়তে হবে। আসল কথা হল, দিনের বেলা জাদিপাই যেতে হবে, রাতে গেলে কিছুই দেখবেন না টর্চ-এর আলোয়।
No comments:
Post a Comment