বাৎসরিক উন্নয়ন পরিকল্পনা
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনেক পথ
পাড়ি দিয়েছে। ১৯৯০ দশকে প্রভূত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
সাধিত হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের এখনও বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি
রয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা সত্ত্বেও এখানে দ্রুত শ্রমিক শ্রেণী বৃদ্ধি পেয়েছে
যাদেরকে কেবল কৃষি ক্ষেত্রে
কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়। একারণে সরকার
বিভিন্ন বৈদেশিক বিনিয়োগ
আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে
তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে
বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিকে অনুমোদন, বিদ্যুৎ
কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ
সৃষ্টি এবং প্রশাসনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের ভয়াবহ বন্যার পর দেশটির
অর্থনীতি আবার বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভর করতে শুরু করে। অবশ্য এখন পর্যন্ত পূর্ব এশীয় অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কোন
প্রভাব বাংলাদেশের ওপর
পড়েনি। বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী বর্তমান বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হওয়ার
কথা প্রায় ৬.৫%। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ১০% কমে গেছে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ এটিকে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে একটি শুভলক্ষন হিসেবে দেখে থাকেন। রপ্তানিতে ৯ মাসে
দেশটিতে ১৮% প্রগতি সাধন হয়েছে এবং রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৫% হারে। ২০০৫ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন ডলার যা অনুমিত পরিমানের চেয়ে ০.৪ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০০৬ সালের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১১.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ অর্থবছরের
জন্য জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ধরা
হয়েছে ৬.৭%।
মূল অর্থনৈতিক সূচক
|
||
জিডিপি-ক্রয়ক্ষমতা সমতা
|
২৭৫ বিলিয়ন ডলার (২০০৪ অনুমিত)
|
|
জিডিপি-প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হার
|
৭.০% (২০০৬ অনুমিত)
|
|
জিডিপি-মাথাপিছু: ক্রয়ক্ষমতা সমতা
|
২,০০০ ডলার(২০০৪ অনুমিত)
|
|
সাহায্য-মাথাপিছু
|
$১০.১ (২০০৩)
|
|
জিডিপি-খাতওয়ারী
|
||
কৃষি
|
২০.৫% (২০০৪)
|
|
শিল্প
|
২৬.৭% (২০০৪)
|
|
সেবা
|
৫২.৮% (২০০৪)
|
|
আয়, মঞ্জুরি বহির্ভূত
|
২৩.৪% (২০০৪)
|
|
দারিদ্রসীমার নিচে জনসংখ্যা
|
৩৫.৬% (১৯৯৫-৯৬ অনুমিত)
|
|
পারিবারিক আয় অথবা ভোগ, শতাংশ
হারে
|
||
সর্বনিম্ন ১০%
|
৩.৯%
|
|
সর্বোচ্চ ১০%
|
২৮.৬% (১৯৯৬)
|
|
মূল্যস্ফীতি হার (ভোক্তা মূল্য)
|
৫.৮% (২০০০)
|
|
শ্রম শক্তি
|
৬৪.১ মিলিয়ন (১৯৯৮)
|
|
নোট: সোদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত
আরব আমিরাত, অমান, কাতার ও মালয়েশিয়াতে উচ্চ হারে শ্রম শক্তি রপ্তানি হয়েছে; শ্রমিকদের রেমিটেন্স ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ১.৭১ বিলিয়ন ডলার হবে বলে
ধারণা করা হয়েছিল
|
||
শ্রম শক্তি-পেশা হিসেবে
|
||
কৃষি
|
৬৫%
|
|
সেবা
|
২৫%
|
|
শিল্প ও খনি
|
১০% (১৯৯৬)
|
|
বেকারত্বের হার
|
৩.৬% (২০০২)
|
|
বাজেট
|
||
আয়
|
৪.৯ বিলিয়ন ডলার
|
|
ব্যয়
|
৬.৮ বিলিয়ন ডলার, মূলধন ব্যয় সহ (২০০০)
|
|
শিল্প
|
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, সূতা কাপড়, তৈরি পোষাক, চা প্রক্রিয়াকরণ, কাগজ নিউজপ্রিন্ট, সিমেন্ট, রাসায়নিক, হালকা প্রকৌশল, চিনি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ,
ইস্পাত, সার
|
|
শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হার
|
৬.২% (২০০১)
|
|
বিদ্যুত-উৎপাদন
|
১৩.৪৯৩ বিলিয়ন কিলো ওয়াট (২০০০)
|
|
বিদ্যুত-উৎপাদন, উৎস হিসেবে
|
||
জীবাশ্ম জ্বালানি
|
৯২.৪৫%
|
|
পানিসম্পদ
|
৭.৫৫%
|
|
অন্যান্য
|
০% (২০০০)
|
|
বিদ্যুত-ব্যবহার
|
১২.৫৪৮ বিলিয়ন কিলো ওয়াট (২০০০)
|
|
বিদ্যুত-রপ্তানি
|
০ কিলো ওয়াট (২০০০)
|
|
বিদ্যুত-আমদানি
|
০ কিলো ওয়াট (২০০০)
|
|
শিল্প ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
|
||
কৃষি-পণ্য
|
ধান, পাট, চা, গম, ইক্ষু, আলু, তামাক, ডাল, তৈলবীজ, মশলা, ফল-ফলাদি; মাংস, দুধ, পোলট্রি
|
|
রপ্তানি
|
৬.৬ বিলিয়ন ডলার (২০০১)
|
|
রপ্তানি-পণ্য
|
তৈরি পোষাক, পাট ও পাটজাত পণ্য,
চামড়া, হিমায়িত মৎস ও
সামুদ্রিক খাদ্য
|
|
রপ্তানি-সহযোগী
|
যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১০.৯%, যুক্তরাজ্য
৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%, ইতালি ৪.৪২%
(২০০০)
|
|
আমদানি
|
৮.৭ বিলিয়ন ডলার (২০০১)
|
|
আমদানি-পণ্য
|
মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, পোষাক-সামগ্রী, সূতা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি, সিমেন্ট
ক্লিংকার
|
|
আমদানি-সহযোগী
|
ভারত ১০.৫%, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ৯.৫%, জাপান ৯.৫%,
সিঙ্গাপুর ৮.৫%, চীন ৭.৪%
(২০০০)
|
|
অর্থনৈতিক সাহায্য-গ্রহীতা
|
১.৫৭৫ বিলিয়ন ডলার (২০০০ অনুমিত)
|
|
মুদ্রা বিনিময় হার
|
টাকা (৳) প্রতি মার্কিন ডলারে (US$1)
- ৬৯.০০০ (অক্টোবর ২০০৬), ৪৯.০৮৫ (১৯৯৯), ৪৬.৯০৬ (১৯৯৮), ৪৩.৮৯২ (১৯৯৭)
|
|
Source: Discovery Bangladesh
|
||
অর্থনৈতিক সাহায্য - গ্রহীতা: ১.৪৭৫ বিলিয়ন ডলার (১৯৯৬/৯৭ অর্থবছর)
মুদ্রা: ১ টাকা (৳) = ১০০ পয়সা
মুদ্রা বিনিময় হার: টাকা (৳) প্রতি মার্কিন ডলারে (US$1) - ৬৯.০০০ (অক্টোবর ২০০৬), ৪৯.০৮৫ (১৯৯৯), ৪৬.৯০৬ (১৯৯৮), ৪৩.৮৯২ (১৯৯৭), ৪১.৭৯৪ (১৯৯৬), ৪০.২৭৮ (১৯৯৫)
অর্থ বছর: ১ জুলাই - ৩০ জুন
No comments:
Post a Comment