Pages

Thursday, September 25, 2014

বাংলাদেশের উল্লেখ যোগ্য স্থান সমূহ (চট্রগ্রাম বিভাগ)



পতেঙ্গা সৈকত

পতেঙ্গা সৈকত বন্দর নগরী চট্রগ্রাম শহর থেকে ১৪ কিমি দক্ষিণে অবস্থিতএটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিতপতেঙ্গা একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রএটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নৌ একাডেমী এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সন্নিকটেরাতের বেলা এখানে নিরাপত্তা বেশ ভালো এবং রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো থাকেস্থানীয় লোকের মতে, এখানে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যায়তেমনি একটি জনপ্রিয় খাবার হল,মসলাযুক্ত কাঁকড়া ভাজা, যা সসা ও পিঁয়াজের সালাদ সহকারে পরিবেশন করা হয়সন্ধাকালে সৈকতে চমৎকার ঠাণ্ডা পরিবেশ বিরাজ করে এবং লকজন এখাঙ্কার মৃদু বাতাস উপভোগ করেপুরা সৈকত জুড়ে সারিবদ্ধ পাম গাছ আছেঅসংখ্য মাছ ধরার নৌকা এখানে নোঙ্গর করা থাকেএছাড়া পর্যটকদের জন্য স্পীডবোট পাওয়া যায়অধিকাংশ পর্যটক পতেঙ্গা সৈকতে আসে সূর্যাস্ত ও সূর্যদ্বয়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত


ফয়েজ লেক

ফয়েজ লেক মানব সৃষ্ট একটি খাল যা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশে অবস্থিতএটি শহরের উত্তরাংশের পাহাড়ী ঢালের পানি প্রবাহকে বাধের মাধ্যমে আটকিয়ে খালটি ১৯২৪ সালে নির্মাণ করা হয় আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানেরেলওয়ে কলোনির আধিবাসিদের পানির সুবিধা প্রদানের উদ্দেশে পরে এটির নাম রেলওয়ে প্রকৌশলী মি. ফয় এর নামানুসারে ফয়'জ লেক নামে পরিচিতি পায়পাহারতলী মুলত চট্রগ্রামের একটি রেল এলাকা, যেখানে কারখানা, শেড আছেএখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রেলওয়ে কর্মচারী বাস করেবর্তমানে এখানে, বগি ওয়ার্কশপ, ডিজেল ওয়ার্কশপ,, লোকো শেড, পরীক্ষাগার, ভাণ্ডার, ইলেকট্রিক ওয়ার্কশপ, একটি স্কুল (স্থাপিত- ১৯২৪) অবস্থিত
এটি রেলওয়ের সম্পত্তিযাইহোক, বর্তমানে হ্রদটি কনকর্ড গ্রুপের বাবস্থয়াপনায়, চিত্তবিনোদন পার্ক হিসেবে আছে

ফয়েজ লেক

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারপ্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণে আসছেকক্সবাজার সৈকতে গেলে দেখা যায় অভাবনীয় দৃশ্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ শিশুর অপূর্ব মিলনমেলাতাদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মুখরিত সাগর তীরভাটার টানে লাল পতাকার সতর্ক সংকেত না মেনে আবেগ আর উচ্ছ্বাসে মেতে সমুদ্রের পানিতে নেমে দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছে অনেক পর্যটককক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পানিতে ডুবে প্রাণহানির ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্য নেটিং ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেয়া হলেও এ পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনিশহরের অভ্যন্তরে ব্যাপকভাবে পাহাড় কাটা, বনাঞ্চল নিধন, সরকারি খাসজমি দখল করে অবৈধ ইমারত গড়ে ওঠার কারণে পর্যটন শহর এখন শ্রীহীনতবুও কক্সবাজারের টানে পর্যটকরা আসছেকক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানিতে পাথরের সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, হিমছড়ির ঝরনা, ডুলহাজারা সাফারিপার্কসহ কক্সবাজার জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই আছে

 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত




সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ

সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকেসেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বিভিন্ন প্রজাতির প্রবাল,শামুক-ঝিনুক, সামুদ্রিক শৈবাল, গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, সামুদ্রিক মাছ, উভচর প্রাণী ও পাখি দেখা যায়দ্বীপটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রএখানে প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড (টেকনাফ) হতে আসা যাওয়া করে এছাড়া টেকনাফ থেকে স্পীডবোটও চলাচল করে
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভালো আবাসিক হোটেল রয়েছে একটি সরকারি ডাকবাংলো আছেসেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল


সেন্ট মার্টিন্‌স দ্বীপ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা

চট্রগ্রাম পার্বত্য জেলার অন্তর্গত রাঙামাটি পার্বত্য জেলা জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাএখানে পর্যটক আকৃষ্ট অনেক কিছু দেখার আছেবিশেষত কাপ্তাই হ্রদ যা, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত বাঁধের দ্বারা সৃষ্টএই হ্রদের স্বচ্ছ ও শান্ত পানিতে নৌকা ভ্রমন অত্যন্ত সুখকর হ্রদের উপর আছে ঝুলন্ত সেতুজেলার বরকল উপজেলার শুভলং-এর পাহাড়ি ঝর্ণা ইতোমধ্যে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেভরা বর্ষামৌসুমে মূল ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে এছাড়া, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান উল্লেখযোগ্য ভ্রমন এলাকা

কাপ্তাই হ্রদ, রাঙামাটি

No comments: