Monday, September 22, 2014
খেলাধুলা
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। এই খেলার মতোই বাংলাদেশের অধিকাংশ নিজস্ব খেলাই উপকরণহীন কিংবা উপকরণের বাহুল্যবর্জিত। উপকরণবহুল খুব কম খেলাই বাংলাদেশের নিজস্ব খেলা। উপকরণহীন খেলার মধ্যে এক্কাদোক্কা, দাড়িয়াবান্দা, গোল্লাছুট, কানামাছি, বরফ-পানি, বউচি, ছোঁয়াছুয়ি ইত্যাদি খেলা উল্লেখযোগ্য। উপকরণের বাহুল্যবর্জিত বা সীমিত সহজলভ্য উপকরণের খেলার মধ্যে ডাঙ্গুলি, সাতচাড়া, রাম-সাম-যদু-মধু বা চোর-ডাকাত-পুলিশ, মার্বেল খেলা, রিং খেলা ইত্যাদির নাম করা যায়। সাঁতার বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায় ছাড়া, সাধারণ্যের কাছে আলাদা ক্রীড়া হিসেবে তেমন একটা মর্যাদা পায় না, যেহেতু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবশ্যকীয়ভাবে সাঁতার শিখতে হয়। গৃহস্থালী খেলার মধ্যে লুডু, সাপলুডু, দাবা বেশ প্রচলিত। এছাড়া ক্রিকেট ও ফুটবলের মতো বিভিন্ন বিদেশী খেলাও এদেশে বেশ জনপ্রিয়।
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল আইসিসি ট্রফি জয় করে, যার ফলে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো তাঁরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। সেবার প্রথম পর্বে বাংলাদেশ স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে। এছাড়া ২০০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করে। ক্রিকেট দলের মধ্যে ধারাবাহিক সাফল্যের অভাব থাকলেও তাঁরা বিশ্বের প্রধান ক্রিকেট দলগুলোকে, যেমন: অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, নিউ জিল্যান্ড, শ্রীলংকাকে হারিয়ে এসেছে। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে। টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা লাভ করার পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশ দুইটি টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। প্রথমটি জিম্বাবুয়ের সাথে ২০০৪-'০৫ খ্রিস্টাব্দে, এবং দ্বিতীয়টি জুলাই ২০০৯-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপরীতে। অন্যান্য খেলার মধ্যে হকি, হ্যান্ডবল, সাঁতার, কাবাডি এবং দাবা উল্লেখযোগ্য। এ যাবৎ ৫ জন বাংলাদেশী - নিয়াজ মোর্শেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার, আবদুল্লাহ আল রাকিব এবং এনামুল হোসেন রাজীব - দাবায় গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাব লাভ করেছেন। বাংলাদেশের খেলাধূলা নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ২৯টি খেলাধূলা সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ফেডারেশন নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশ, ২০১১ খ্রিস্টাব্দে যৌথভাবে ভারত ও শ্রীলংকার সাথে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রাম ও চা-শিল্পের জন্য বিখ্যাত সিলেটে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
Labels:
বাংলাদেশ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment