Pages

Sunday, October 26, 2014

নীলাচল

নীলাচল




বিবরণঃ

পাহাড় আর চিরসবুজে ঘেরা বান্দরবান সব ঋতুতেই সুন্দর তবে বান্দরবানকে একটু ভিন্নভাবে চেনা যায় ভরা বর্ষায় বর্ষায় বান্দরবান তার রূপ রহস্যের ঘোমটা খুলে মেলে ধরে ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে  বর্ষায় বান্দরবান বেড়ানোর আরেকটা দিক হলো সময় প্রায় সব ট্যুরিস্ট স্পটে পর্যটকদের ভিড় কম থাকে


বান্দরবান শহরে পরিবেশের  কিলোমিটার আগে প্রধান সড়কের ডান পার্শ্বে একটু ভিতরে টাইগার পাড়া এলাকায় নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্সের অবস্থাননীলাচল পর্যটন স্পটটি  ২০০৬ সালের পহেলা জানুয়ারি বান্দরবানের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আলাউদ্দিন উদ্বোধন  করেন একই চত্বরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ শুভ্রনীলা নামে আরেকটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে উভয় কমপ্লেক্সের মাঝে বাচ্চাদের খেলাধুলার ব্যবস্থা এবং বসার ব্যবস্থা রয়েছে নীলাচল শুভ্রনীলা সংযোগ সড়কটি প্রাক্তন উপদেষ্টা . ইফতেখার আহমদ চৌধুরী  ২০০৭ উদ্বোধন করেন


মূল সড়ক থেকে নীলাচলে যাওয়ার  রাস্তাটি বেশ উঁচুনিচু এতে অনেকের মনে বেশ ভয়ের উদ্রেক হতে পারে আবার কেও কেও এটাকে এডভেঞ্চার ভাবতে পারেন আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ দিয়ে নীলাচলে যাওয়ার সময় পাশে অনেক নিচুতে  পাহাড়িদের ঘর চোখে পড়ে সমতল ভূমি থেকে প্রায় ২০০০ ফুট উচ্চতায়  নীলাচলের  অবস্থান


ভালো করে তাকালেই দেখতে পাবেন পাহাড়ের কিছু নিচে এবং  চূড়ায় আপনার গা ছুঁয়ে মেঘ ভেসে যাচ্ছে আপনি মেঘ ছুয়ে দেখতে পাবেন আপনার চার পাশে তুলার মত মেঘের খন্ড খন্ড টুকরা ভেসে বেড়াতে দেখবেন এক  রোমাঞ্চকর অনুভুতি  সাদা তুলার মতো মেঘের স্পর্শে আপনার শরীর মন সব ভিজে একাকার হবে প্রকৃতির অকৃত্রিম এমন স্পর্শে মনটা এক সর্গীয় অনুভূতিতে ভরে উঠবে যাদের দার্জিলিং যাওয়ার সুযোগ হয় নি তাদের কাছে মনে হবে যেনো বাংলার আরেক দার্জিলিং


নীলাচল পাহাড়ি এলাকাটি অনেকেই স্বর্গভূমি বলে থাকেন।নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারর সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন। এমনকি এ স্থান হতে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দরের আলোকসজ্জাও দেখতে পারা যায়আর বিশেষ করে জ্যোৎস্না রাতে পাহাড়ী সৌন্দর্যের ভাল উপভোগের বিকল্প আর কোন স্থান এর চেয়ে হতে পারেনা এখানে রয়েছে একটি রেষ্ট হাউজ ও একটি রেস্তোরা


বিশেষ করে নীলাচলে সুর্যাস্তের দৃশ্য আমাদের মনে স্বর্গীয় অনুভূতি আনে এবং এর নির্মল বাতাসে যেকোন পুরানো রোগনিরা ময়েসহায়ক বলে কথিত আছে


বর্ষায় নীলাচল ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায় চোখের সামনে, চারপাশে ছোট-বড় অসংখ্য  পাহাড়ের মিছিল মাথায় উপরে মেঘের নৃত্য রোদ-ছায়ায় সূর্যের লুকোচুরি কিংবা ঝুপ করে আকাশ ভেঙে নেমে আসা ঝমাঝম বৃষ্টি দেখে মন চলে যায় অন্য পৃথিবীতে এখানে নীরবে প্রকৃতি দেখাতেই যেনো আনন্দ পাহাড়ের মিছিল আর  মেঘ বৃষ্টি চোখের সামনে নিয়ে বসে থাকা যায় ক্লান্তিহীন


 নীলাচলের চূড়া থেকে বান্দরবানের সবুজ পাহাড়, রোদ-মেঘ আর বৃষ্টির মিতালী দেখতে দেখতে শহুরের চার দেয়ালে বন্দী জীবনটা যেন অটোমেটিক রিচার্জ হয়ে যায় প্রকৃতির অকৃত্রিম স্পর্শে আপনি পাবেন জীবন পথে চলার নতুন উদ্যম


নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্সের কাছাকাছি পরিচিত মেঘলা পর্যটন স্পট অবস্থান।



কিভাবে যাওয়া যায়: 


শহর থেকে চান্দের গাড়ি বেবি টেক্সি, জীপ, কার যোগে যাওয়া যায়
পযটকদের  সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে কটেজও  রেস্টুরেন্ট নির্মাণসহ নীলাচলকে আধুনিক সাজসজ্জিত করা হচ্ছে



যাতায়াত :  চান্দেরগাড়ি, প্রাইভেটকার, বেবিটেক্সি


ভাড়া :  চান্দের গাড়ি যাওয়া-আসা-৫০০/- টাকা



সুবিধাদি :  জেলাপ্রশাসনের তত্ত্ববধানে পরিচালিত দুইকক্ষবিশিষ্ট একটি রেস্ট হাউজ আছে
এখান থেকে পাহাড়ের অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়



বিশেষ আকর্ষণ :  বিকেলের সুর্যাস্ত



যোগাযোগ :  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নীলাচল/এনডিসি, বান্দরবান
০৩৬১-৬২৬০৫, ০১৭১৪-২৩০৩৪৫, ০১৭১২-৭১৮০৫১



প্রবেশমূল্য :   জনপ্রতি ৪০ টাকা



ছবিঘরঃ


নীলাচল (চিত্র-১)



নীলাচল (চিত্র-২)



নীলাচল (চিত্র-৩)




নীলাচল (চিত্র-৪)



নীলাচল (চিত্র-৫)



নীলাচল (চিত্র-৬)



নীলাচল (চিত্র-৭)



নীলাচল (চিত্র-৮)



নীলাচল (চিত্র-৯)



নীলাচল (চিত্র-১০)